কর্মশ্রী প্রকল্প (Karmashree Scheme): সম্পূর্ণ বিবরণ
পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দপ্তর দ্বারা পরিচালিত কর্মশ্রী প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দপ্তর দ্বারা পরিচালিত একটি সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায়, 20 দিন কোনো কাজ করলে, তাদের আরও ২০ দিনের কাজ অন্য প্রকল্পে কাজ দেওয়া হবে।
এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শ্রমের মর্যাদা আমাদের সম্মান করতে হবে। কোনো কাজই ছোট নয়।”
সরকার ১০ লাখ যুবক-যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ দেবে। এর পাশাপাশি, রাজ্যে ৫০০টি কর্মতীর্থ মার্কেটিং হাব তৈরি হয়েছে, যেখানে দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
“কর্মশ্রী” প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে, প্রতিটি জব কার্ডধারী পরিবারকে প্রতি আর্থিক বছরে ন্যূনতম ৫০ (পঞ্চাশ) দিনের কর্মসংস্থান প্রদান করা।
যোগ্যতা
- সমস্ত গ্রামীণ অদক্ষ শ্রমিক, যাদের মহাত্মা গান্ধী এনআরইজিএস-এর অধীনে জব কার্ড আছে, তারা এই প্রকল্পের অধীনে কর্মসংস্থান পাওয়ার জন্য যোগ্য।
- যদি কোনো অদক্ষ শ্রমিক এই প্রকল্পের অধীনে কর্মসংস্থান পেতে ইচ্ছুক হন কিন্তু জব কার্ড নেই। তাকে জবকার্ড দেওয়া হবে যাতে কাজ পেতে পারে।
কাজের জন্য আবেদন
- প্রকল্পের অধীনে কর্মসংস্থানের জন্য অদক্ষ শ্রমিকদের ওয়ার্ক ডিমান্ড ফর্ম (পরিশিষ্ট-I) পূরণ করে গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক উন্নয়ন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
- গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক উন্নয়ন কার্যালয় একটি ডিমান্ড ও রেজিস্টার (পরিশিষ্ট-II) মেনটেন করে যাতে শ্রমিকদের জব কার্ড ও আধার তথ্য সহ ডাটা মেনশন থাকে।
উপসংহার
কর্মশ্রী প্রকল্পটি গ্রামীণ অসংগঠিত শ্রমিকদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটির লক্ষ্য হল রাজ্যের প্রত্যেক জব কার্ডধারী পরিবারকে বছরে অন্তত ৫০ দিনের মজুরিযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা।
source: